মাথার উপর সবুজ পাতার চাঁদোয়া, চারিপাশে পাখির কলকাকলি আর ঘন শ্বাসমূলে ঢাকা চরের ফাঁকে ফাঁকে জালের মত নদী, সবমিলিয়ে সুন্দরবন যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে দারুণ আকর্ষণের গন্তব্য এই বন বিশ্বের বৃহত্তম একক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণের মত নানা প্রজাতির প্রাণি ও সুন্দরী, কেওড়ার মত বৃক্ষের সমারোহে পূর্ণ এই অঞ্চল বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের আধার। সুন্দরবনের মধু, গোলপাতা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ অগণিত মানুষের জীবিকার উৎস হিসেবে কাজ করে।
অবৈধ বন নিধন, প্রাণিশিকার এবং পরিবেশ দূষণের ফলে সুন্দরবন হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সেই সাথে বিলীন হচ্ছে বনের অসাধারণ জীববৈচিত্র্য। পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে বিরল প্রাণির বিলুপ্তির সাথে সাথে বনের প্রাকৃতিক গঠনেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।
সুন্দরবনের সুরক্ষাকে সংহত করতে গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন বিগত বছরগুলোতে ‘প্রজেক্ট অক্সিজেন’-এর অংশ হিসেবে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ৫৩,৬০০ টি গাছ রোপণ করেছে। আমরা আগামীতেও উপকূলীয় সুরক্ষাবেষ্টনীকে শক্তিশালী করার এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির প্রত্যয়ে বাংলাদেশের প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা দেশব্যাপী পালন করে আসছেন ‘সুন্দরবন দিবস’। এই বিশেষ দিনে আসুন সুন্দরবন রক্ষায় সচেতন হই, বন ও পরিবেশ বিষয়ক আইন মেনে চলি এবং সর্বোপরি সুন্দরবনের সুষ্ঠু পর্যটন বিকাশে সোচ্চার হই।