Successful

Share Iftar with Underprivileged People

রমজানের মাহাত্ম্য কি? রমজানের শিক্ষা ত্যাগ ও সংযম, আর রমজানের মাহাত্ম্য হচ্ছে ত্যাগের আনন্দ বুঝতে শেখা। ত্যাগের আনন্দ শুধু তখনই বোঝা যায়- যখন আনন্দ ভাগ করতে শিখি আমরা। দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা- সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে দেশের নিম্নআয়ের মানুষদের। কোভিডের শুরু থেকে রমজান মাস ভিন্নমাত্রিক দুর্দশা নিয়ে হাজির হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে। গত ৩ বছর ধরে ঢাকার বস্তিবাসী স্বল্পআয়ের শ্রমজীবী-পেশাজীবী, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠী, বৈষম্যের শিকার শিশু ও নারী সহ দেশজুড়ে বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া কমিউনিটির জন্য ইফতার আয়োজন করছি আমরা। আপনাদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত ৬৪ জেলার ৭০,৩১৩ জন মানুষের সাথে ইফতার ভাগ করে নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এবছর জিনিসপত্রের দাম রীতিমতো আকাশছোঁয়া। মানসম্মত ইফতার তো দূর, নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর তিনবেলা খাওয়ার খরচ জোগাতেই ইদানীং নাজেহাল অবস্থা। আমরা তিনটি সংগঠন মিলে এবার ২০,০০০ মানুষের জন্য ইফতার বিতরণের লক্ষ্যে মাঠে নামছি। ভরসা একটাই- আপনারা পাশে আছেন! "এখন পাঁচশ টাকায় এক মুঠ বাজার করতে পারি না", বলছিলেন তিন সন্তানের মা রূপা আক্তার। (বিবিসি নিউজ বাংলা, ১ জানুয়ারী '২৩) রমজান মাস আসলেই আমার-আপনার বাসায় শুরু হয় ইফতার আইটেম নিয়ে নানান জল্পনাকল্পনা। কিন্তু যাদের প্রতিনিয়ত অনাহার-অর্ধাহারে থাকার যুদ্ধে সামিল হতে হয়, তাদের পক্ষে সাধারণ ইফতার আয়োজন করাই বিলাসিতা, বাহারি আইটেমের আলাপে না-ই গেলাম। বিভিন্ন পেশার নিম্নআয়ের এসব মানুষদের কাছে আমরা ইফতার পৌঁছে দিচ্ছি। ত্যাগ ও সংযমের মাস রমজানের অন্যতম আমল হলো দান-সদকা। আপনিও আপনার সহানুভূতি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন- একজনের ইফতার মাত্র ১০০ টাকা!

bynuheen inPast Campaign, Project Pothchola
Successful

Folon- Sustainable Livelihood For Farmers

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সমাজেও বড়লোক হবার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই, কিন্তু কৃষিকাজ করে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখাও যেনো পাপ! এমনিতে সরল মনে চিন্তা আসতেই পারে- 'কাঁচাবাজারে চাল-ডাল, শাকসবজির দাম যেহেতু আকাশচুম্বি- না জানি এসব উৎপাদনকারীরা কত্ত লাভ করছেন।' বাস্তব চিত্র পুরোপরি ভিন্ন! গত বছর গাইবান্ধা জেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের একজন সাধারণ কৃষকের বার্ষিক আয় ছিলো গড়ে ১৫ হাজার টাকা। শীতকালীন মৌসুম থেকে প্রাপ্ত লাভের বেশিরভাগ অংশই পরবর্তী বন্যা মৌসুমে খোয়াতে হয়। যুগের পর যুগ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা সেই কৃষক যখন তার মৌসুম শুরু করতে যান, তখন সামান্য কিছু অর্থের জন্য তার উপর বিশাল এক ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় সঠিক সময়ে সঠিক কৃষি উপকরণ যোগানোর যুদ্ধ। মাটি পরীক্ষা তো দূর, ন্যূনতম প্রয়োজন- ভেজালমুক্ত সার, বীজ ও কীটনাশক পাওয়াটায় রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সবথেকে বড় ধাক্কা আসে, উৎপাদিত এই ফসলটুকু যখন মিডলম্যানের কারণে বাজার ধরতে না পারার ফলে নায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা থেকেই, Give Bangladesh গত ২০১৯ সালে গাইবান্ধা জেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ৫০ জন কৃষককে নিয়ে 'প্রজেক্ট ফলন'- এর যাত্রা শুরু করে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য, হতদরিদ্র একজন কৃষককে তার ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি দিয়ে, একটি স্থায়ী আর্থিক স্বচ্ছল জীবন নিশ্চিত করা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ৩০০ জন এবং ২০২২ সালে আমরা পৌঁছে গিয়েছি ৩৪৫ জন কৃষকের কাছে। আমরা ঠিক কী করছি? - অর্থকরী উচ্চ-ফলনশীল ফসল (ভুট্টা, মরিচ) চাষের জন্য মূলধন দেয়া - সঠিক সময়, মান ও দামে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা - দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মশালা আয়োজন - পরামর্শ ও যোগাযোগের জন্য হটলাইন সার্ভিস দেয়া - সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা - নতুন মার্কেট গেটওয়ে বানানো চেষ্টা করা এইবছর, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য আরো ৫০০ জন নতুন কৃষককে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। ‘ফলনঃ Sustainable Livelihood For Farmers’ একটি যাকাত প্রদানযোগ্য প্রজেক্ট। শরীয়া অনুযায়ী যে ৮ শ্রেণীর মানুষকে যাকাত দেয়া যায়, আমাদের কৃষকগণ তাদের মধ্যে দরিদ্র, অভাবী ও ঋণগ্রস্থ- এই তিনটি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। কাপড়/টাকা দেয়ার চলমান প্রক্রিয়ার বাইরে বেরিয়ে এসে দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির কথা চিন্তা করলে এভাবে যাকাত দেয়াটাই যুক্তিযুক্ত, যেহেতু যাকাতের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে সম্পদের প্রবাহ সৃষ্টি করা। যাকাত ছাড়াও স্বাভাবিক সাহায্য বা সাদাকাহ- যে কোনো রূপেই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পারেন আপনি। আশা করি সবাই মিলে আমরা কৃষকদের অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারবো। সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম- বিকাশ- 01753932461 (Personal) - 01819230486 (Personal) রকেট- 017527599992 (Personal) নগদ- 01819230486 (Personal) ব্যাংক- A/C- 06933000780 Give Bangladesh Foundation Bank Asia, Satmasjid Road Branch পেপ্যাল- PayPal.me/GiveBD

bynuheen inPast Campaign, Project Folon