২৮ তারিখ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ইজিবাইকে সরু পথে এগিয়ে চললাম গন্তব্যে পথে। আমাদের গন্তব্য তওয়াবপুর স্লুইসগেইট সংলগ্ন এলাকা। আগেরদিন প্রচন্ড বৃষ্টি হলেও সেদিন রোদের তাপ ছিলো প্রচন্ড। তবে গাছ লাগানোর জন্য পরিবেশটা বেশ অনুকুলেই বলা যায়! অতি বৃষ্টি আগের দিনের কাজের বেশ ব্যাঘাত ঘটিয়েছিলো আমাদের।  

 

প্রায় ১ ঘন্টা ইজিবাইকে চড়ে তওয়াবপুর পৌছালাম। নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় ৪ কি. মি. রাস্তার ধারে গর্ত খুঁড়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার গাছ লাগানো হবে এখানে। টিম গিভ বাংলাদেশের সাথে ছিলো প্রায় ২০০ ভলান্টিয়ার। সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হলো। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো সব গাছ গুলোকে নির্ধারিত গর্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। এই কঠিন কাজটি পার করতে সমর্থ হই আমরা। তারপর দিনভর চলে গাছ লাগানোর বিশাল কর্মযজ্ঞ। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও গাছ লাগানো  তখনো আমাদের অনেক বাকি। সর্বশেষ গাছটা যখন লাগাই তখন প্রায় সন্ধ্যা। সূর্যের তাপের তখন আর তীব্রতা নেই, ভলান্টিয়াররাও বেশ ক্লান্ত। কিন্তু কাজের এখনো অনেকটাই বাকি। গাছ লাগানোর পর তার সুরক্ষার জন্য বেড়া দিতে হবে। কারণ সকাল হতেই সবার পরিশ্রম পণ্ড করে দিতে ছাগল ছানারা যে ছুটে আসবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই! অগত্যা, ফ্লাশলাইটের আলো জ্বালিয়ে আমাদের গাছের সুরক্ষা বেড়া যখন লাগানো শেষ করি, তখন বাজে রাত ৮টা।  

 

প্রজেক্ট অক্সিজেন ৪.০ এর অভিজ্ঞতা গিভ বাংলাদেশের অন্যান্য কাজের চেয়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং ও ভিন্ন রকমের। হাঁটু সমান কাদা, কাঠফাটা রোদ কিংবা মুশলধারে বৃষ্টির রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়েই এবারের অক্সিজেন ৪.০ এর মাধ্যমে আমরা পৌঁছেছি ৫০ হাজার গাছ লাগানোর নতুন এক মাইলফলকে। বাংলাদেশকে শক্ত করার এই কার্যক্রমের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।  

 

আবরার হাসান
স্পট ২ (তওয়াবপুর স্লুইসগেট থেকে ওয়াপদা বাঁধ)
ভলান্টিয়ার
গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন

#ProjectOxygen

#শক্তকরিবাংলাদেশ 

#GiveBangladesh

#দেশেরপ্রতিটিপ্রান্তে